কলম্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিল
গোল খাওয়ার দৃশ্যটিও বেশ দৃষ্টিকটু। কলম্বিয়া যখন আক্রমণ তৈরি করছিল, তখন নিজেদের বক্সে ব্রাজিলের খেলোয়াড়ের অভাব ছিল না। এমনকি বক্সের ভেতর লুইস দিয়াজ যখন বল পান, তখনো বলের লাইনে দাঁড়ানো ছিলেন চারজন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দিয়াজের শট ব্লক করার তেমন কোনো চেষ্টাই করেনি ব্রাজিল ডিফেন্ডাররা! অনেকটা ‘গার্ড অব অর্নার’ পাওয়ার ভঙ্গিতেই গোলরক্ষকসহ পাঁচজনকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়ায় জালে। অথচ যে কেউ এই পরিস্থিতিতে বলের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করতেন। চাইতেন অন্তত কোনোভাবে বলটা ‘ক্লিয়ার’ করতে।
ব্রাজিলের আক্রমণভাগে সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। নেইমার না থাকলেও নিজেদের দিনে ভিনিসিয়ুস, রদ্রিগো কিংবা রাফিনিয়াদের যে কেউ ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারেন। আজকেরও ম্যাচেও ভিনির তেমন একটি মুহূর্ত ম্যাচটা ব্রাজিলের মুঠোয় এনে দিয়েছে। কিন্তু এটুকুতে আড়াল হচ্ছে না দুর্বলতাগুলো। আক্রমণভাগের তারকা খেলোয়াড়দের বাদ দিলে এই ব্রাজিল বড্ড সাদামাটা। বিশেষ করে ফুলব্যাকদের প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে না পারা বেশ ভোগাচ্ছে দলটিকে।
আজকের ম্যাচেই যেমন রাইটব্যাক পজিশনে ভেন্ডারসন বেশির ভাগ সময় ছিল একেবারেই নিষ্প্রভ। ৭৯ মিনিটে তাঁর বদলে মাঠে নামানো হয় ২১ বছর বয়সী অভিষিক্ত ফুটবলার ওয়েসলি ফ্রাঙ্কাকে। অল্প সময়ের জন্য মাঠে নেমেই ব্রাজিলের খেলায় গতি এনে দিয়েছেন ফ্ল্যামেঙ্গোর এই তরুণ রাইটব্যাক। পাসিংয়ে দক্ষতা দেখানোর পাশাপাশি তৈরি করেছেন একাধিক সুযোগও।
No comments