Breaking News

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

 শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন

শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন

শেখ হাসিনা 

সোমবার (৬ জানুয়ারি, ২০২৫) সকালে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন:

  • সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
  • সাবেক প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক
  • পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ

এছাড়া, বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

আদালত আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন এবং সেদিন গ্রেপ্তার সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে বলেছেন।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়।

aaaa

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গুমের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। নিচে এর বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:

মামলার পটভূমি:

  • অভিযোগ: ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিভিন্ন ব্যক্তি গুম হয়েছেন। অভিযোগকারীদের দাবি, এই গুমের ঘটনায় সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত।
  • মামলার আবেদনকারী: মামলাটি করেছে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন।

অভিযুক্তদের তালিকা:

১. শেখ হাসিনা (সাবেক প্রধানমন্ত্রী)
২. তারিক আহমেদ সিদ্দিক (সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা)
৩. বেনজীর আহমেদ (সাবেক আইজিপি)
৪. মো. শহীদুল হক (সাবেক সচিব)
৫. আরও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।

আদালতের আদেশ:

  • গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি: ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। অভিযুক্তদের আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • জবাব চাওয়া: পরবর্তী শুনানিতে অভিযুক্তদের পক্ষে আইনি প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রেক্ষাপট:

  • শেখ হাসিনা গত বছর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অবসর নিয়ে ভারতে চলে যান। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়।
  • অভিযোগকারীরা বলেছেন, তাদের প্রিয়জনদের গুমের জন্য কোনো বিচার হয়নি, যা এই মামলা করার মূল কারণ।

প্রতিক্রিয়া:

  • আওয়ামী লীগ: তারা এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছে।
  • আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এই ঘটনাকে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছে।
আপনার যদি আরও নির্দিষ্ট কোনো প্রশ্ন থাকে, জানাতে পারেন।

aaaa

No comments